দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে পিষছে নিম্ন আয়ের মানুষজন
মানুষের মৌলিক অধিকারের অন্যতম একটি হলো খাদ্য। সেই খাদ্য নিয়েও ভুগতে হচ্ছে মানুষকে। স্বল্প আয়ের পরিবারকে হিমশিম খেতে হয় নিজেদের এই মৌলিক অধিকার পূরণে। বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে দেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। তারমধ্যে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ায় বাজারে পণ্যের দাম লাগামহীন।
বছরের শুরুতে বাজারে চালের দাম যতটা বেড়েছে, তা এখনো খুব একটা কমেনি। খুচরা পর্যায়ে চালভেদে কেজিতে এক-দুই টাকা কমে কেনা গেলেও বেশির ভাগ বিক্রেতা আগের বাড়তি দামেই চাল বিক্রি করছেন।
এছাড়া সবজির দামেও নেই স্বস্তি। পেঁয়াজের দাম কমলেও চড়া রয়েছে বাকি সবজির দাম। বাজারে সবজির পাশাপাশি মাছের দামও চড়া। তবে কিছুটা কমেছে মুরগির দাম। গতকাল বাজারে মাঝারি আকারের চাষের রুই প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং আকারভেদে তেলাপিয়া ও পাঙাশ ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) এক হিসাবে দেখা যায় রুই মাছের দাম এক সপ্তাহে ২০ টাকার মতো বেড়েছে। গরু ও খাসির মাংসের বাজার সিন্ডিকেটে যেন পিষছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। এছাড়া আসন্ন রমজান উপলক্ষে ছোলা,চিনি, খেজুরসহ বেড়েছে ফলের দামও। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি যেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের জন্য শ্বাসরোধী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার দীর্ঘদিন ধরে ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ গত ডিসেম্বর মাসের হিসাবে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ। এই মাসে গ্রাম-শহরনির্বিশেষে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ, অর্থাৎ এক বছর আগের চেয়ে অতিরিক্ত দামে মানুষকে খাদ্য কিনতে হচ্ছে। অন্যদিকে, মূল্যস্ফীতির তুলনায় সাধারণ মানুষের আয় তেমন বাড়েনি। উচ্চ মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও কঠিন করে তুলছে। তবে কোনো ব্যবস্থাই বেশির ভাগ পণ্যের মূল্য কমাতে পারছে না। যদিও লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
টিএ