রাস্তায় কুড়ানো চিঠি
তেমাকে আজই আমি প্রথমবার দেখলাম তা না। এর আগেও দেখেছি অসংখ্যবার। দেখেছি প্রভাতের আলোয় আলোকিত সূর্যের আলোতে, গোধুলির আলো-আঁধারে। শুধু কাছে যাওয়ার সাহস হয়ে উঠেনি। হয়তো হবেও না। শুনেছি নক্ষত্র দূর থেকেই সুন্দর।
তবুও কতো সাধারণ নক্ষত্র জয় করে আসে, তাই না! আমার কিছু ছোট ছোট ইচ্ছে ছিল যা তোমাকে উৎসর্গ করতে চাই। আমি জানি তুমি রক্তজবা ফুল ভিষণ পছন্দ করো, তাই প্রতিটা রক্তিম জিনিসের মাঝেই তোমাকে খুঁজে পাই।
একগুচ্ছ কাঠগোলাপ তোমার হাতে দিয়ে বলতে চাই, এগুলো তোমার হাসির সরূপ। কৃষ্ণচূড়া দিয়ে বলতে চাই, তোমার উল্লাস এই লাল রঙে বিদ্যমান। বর্ষায় দোলনচাঁপা দিয়ে বলতে চাই, এই যে তোমার স্নিগ্ধতা। বেলী দিয়ে বলতে চাই, এটা ছাড়া তোমার হাত অপূর্ণ।তুমিও তো একটি হাস্যজ্জল পুষ্প। আমার মনে হয় তোমার জন্যই আমার দিনগুলো এত সুন্দর হয়।
তোমার চলাফেরা সব সময় হাসি খুশি চেহারা আর লাবণ্যময় রুপে চারপাশ ঝলমল করে। বিশ্বাস করা দুষ্কর। তবে একটা চিরন্তন সত্য কথা কি জানো?
শাড়ি পরলে তোমাকে পৃথিবীর সবথেকে রুপবতী, গুণবতী, লক্ষী মেয়ে বলে মনে হয়।
শাড়ি পরা রুপবতী মেয়েটা মুগ্ধতা ছড়ানোর অসীম ক্ষমতা নিয়ে যখন চোখের সামনে এসে হাজির হয়, শত চেষ্টা করেও তার দিক থেকে দৃষ্টি ফেরানো যায় না। ভুল করে দৃষ্টি সরিয়ে নিলেও ভীষন আফসোস হয়। অনন্তকাল মুগ্ধতা নিয়ে তাকে দেখতে না পারার আফসোস। মানব জীবনটা এমনই, চাওয়ার সাথে পাওয়ার ব্যাবধান, অনন্ত কাল যাকে মুগ্ধতা নিয়ে দেখে যাবার ইচ্ছে হয়, ভাগ্য তাকে ন্যানো সেকেন্ডও সামনে আনবে না।
তোমাকে যখন খোলা চুলে দেখি, আমার কাছে তোমাকে সবথেকে সুন্দরতম মনে হয়। অনন্তকাল যাবত তোমার হাসিময় মুখটা দেখার তৃষ্ণা যেন মেটে না।
তোমাকে নিয়ে লিখতে বসলে মনে হয় শত বছর পেরিয়ে যাবে তবুও তোমাকে নিয়ে লেখা শেষ হবে না।
যদি কখনো সামনে আসি সেদিন অনেক কথা বলবো। ততদিন পর্যন্ত শূন্যতার মাঝে পূর্ণতা পাবার দুঃখ নিয়ে বাঁচি। ভালো থাকবে।
‘ঠিক এমনি আবেগ মাখা একখানা দামী চিঠি কুড়িয়ে পেয়েছিলাম ধুঁ ধুঁ করা বিলের মাঝ দিয়ে যাওয়া রাস্তায়।’
কেএ