"রক্তদানে সাতাশে বাঁধন, স্বপ্নজয় করবে সাধন"
রক্তদানে সাতাশে বাঁধন, স্বপ্নজয় করবে সাধন" এই স্লোগানকে সামনে রেখে, বাঁধন কেন্দ্রীয় পরিষদের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাঁধনের ২৭ বছরপূর্তি অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও কেক কাটা কর্মসূচি পালিত হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি)।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের একটি কক্ষে এ অনুষ্ঠান হয় ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাধঁন জাবি জোনের সভাপতি মো:- শাহজালাল আহমেদ আকাশ। সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ (উপদেষ্টা বাঁধন জাবি জোন), বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম, বাঁধন জাবি জোনের শুভাকাঙ্খী অধ্যাপক খন্দকার লুৎফুল এলাহী। এছাড়াও বাঁধন জাবি জোনের উপদেষ্টাবৃন্দ ও বিভিন্ন হল ইউনিট এর দ্বায়িত্বশীল ও কর্মীবৃন্দ।
বাঁধন জাবি জোনের সভাপতি মো: শাহজালাল আহমেদ আকাশ বলেন,স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধন গত সাতাশ বছরে প্রায় ১১.৪৬ লক্ষ বিশুদ্ধ রক্তের সরবরাহ করেছে। একই সাথে ২৪.৩৬ লক্ষ মানুষ কে বিনামূল্য রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে দিতে সক্ষম হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাঁধন তার ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করে। "একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন" এই স্লোগান কে ধারণ করে ১৯৯৭ সালের ২৪শে অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ হল থেকে বাঁধন এর যাত্রা শুরু হয়।দেশের ৫৪ জেলায় ৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৪২টি ইউনিট,১২টি জোন ও ৬টি পরিবারের সমন্বয়ে পরিচালিত হচ্ছে।
স্বেচ্ছায় রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করণ, স্বেচ্ছায় রক্তদান,সবাইকে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ে মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া, অন্যান্য সেবা ও সচেতনমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে সুস্থ সমাজ বিনির্মানে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলাই বাঁধনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। বর্তমানে অনেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন,অনেকেই মারাও যাচ্ছেন। তাই যাদের ওজন ৬০ কেজির বেশি এবং ভেইন সোজা ও স্পষ্ট তাদেরকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্লাটিলেট দানের জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
এএজি