বুকের ভেতরের শীর্ণ পাহাড়ি নদী
একটু দাঁড়াও! শুনতে পাচ্ছো কিছু?
পাচ্ছো না! হ্যাঁ এখানে, ঠিক এইখানে
যে দেখতে পাচ্ছো মরা কার্তিকের
বালিকা জ্যোৎস্নার রাতে ভীষণ খরায়
ফেটে যাওয়া চৌচির আমার বুক ;
এখানে এখন একটা শীর্ণ পাহাড়ি নদীর
কান্না শুনতে পাবে একটু
গভীর ভাবে খেয়াল করলেই।
একটা সময় ও কী সুন্দর গান গেয়ে হেলে দুলে
নাচতে নাচতে তীব্র গতিতে বয়ে যেতো
কোন অজানায় কে জানে!
এখন সে আর গায় না কোনো গান!
শুধুই থেকে থেকে বিলাপ করে।
ওর গতি গেছে হারিয়ে ,
বেদুঈন মেঘেরা আর বৃষ্টি হয়ে
ঝরে পড়ে না ওর বুকে!
যে নদীটা একটা সময় পাহাড়ের ঝিরির জল
বয়ে নিয়ে এই বুকের ওপর দিয়ে
সিম্ফনি বাজিয়ে আছড়ে পড়তো
অথচ এখন সে যেনো কোনো এক
বাল্যবিধবা, যে কী না তেজ দীপ্ত কিরণে
ঝলমলিয়ে উঠা যৌবন, তার আনন্দ বুঝে
ওঠার আগেই অকাল বৈধব্যের
বোঝায় নুইয়ে পড়েছে
ঝড়ে
ভেঙে পড়া কোনো বৃক্ষের মতো।
কলমে - গোলাম কবির
টিএ