মুসলিম তরুণদের ধ্বংসের পথ: সুন্দরী তরুনী-নেশা-অস্ত্র
মুসলিম তরুণদের ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়ার তিনটা পথ অবলম্বন করে ইসলামের শত্রুরা।
১. সুন্দরী তরুনীকে লেলিয়ে দেওয়া।
২. নেশা জাতীয় সকল দ্রব্য ছড়িয়ে দেওয়া।
৩.সর্বশেষ ইসলামি রাষ্ট্রের মধ্যে অস্ত্রের ঘাটি তৈরি করা।
মুসলিম স্বাভাবিক ভাবে কোনো না কোনো বিশ্বাসের সংকটে পড়ে।নিজের চারদিকে তাকিয়ে সে দেখে দুর্নীতি, অনিয়ম, অভাব, অন্যায়। পশ্চিমাদের দিকে তাকালে চোখে পড়ে সম্পদ, সাফল্য, স্বাচ্ছন্দ্য, সুখ। পশ্চিমা সভ্যতার শত সহস্র কোটি নিয়ম ও বাতির আলোতে চোখ ঝলসে যায়। ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় তাকে এ উপসংহার আসতে হয় যে, আমাদের পিছিয়ে পড়া বর্তমানের জন্য কোনো না কোনোভাবেই দায়ী আমাদের ধর্ম।
যারা ধর্মকে প্রত্যাখ্যান করেছে তারা তো বেশ ভালো আছে! শান্তি, শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা, সম্পদ, সকল দিকেই তারা সুখী। অন্য দিকে আমরা গরিব, আইন নেই, বিচার নেই, অধিকার নেই, এমনকি ভালো সভ্য আচরণের মানুষও নেই। নানা প্রশ্নের সামনে এসে দাঁড়াতে হয় তাদেরকে। দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, টিভি সিনেমা, মিডিয়া, সব জায়গা থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তাদের সামনে তুলে ধরা হয় ফিরিঙ্গি সভ্যতার কসমেটিক সার্জারী করা চেহারা। চেপে যাওয়া হয় সাদা সভ্যতার পিছনে কালো অধ্যায়।
এই বিষাক্ত বার্তা একবার মাথায় ঢুকে যাবার পর ইসলামের ব্যাপারে সংশয়ে পড়ে কিংবা একেবারে মন থেকে ইসলাম ত্যাগ করে। এভাবেই আমাদের মস্তিষ্কে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় পরাজিত মানসিকতা আর সহজাত হীনম্মন্যতা।পুরো দুনিয়ায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া,শতাব্দীর পর শতাব্দী পৃথিবী জুড়ে লুটপাট করা, শোষণ করা।ইতিহাস আমাদের ভাবায় না, যে দলগুলে আমাদের মাটি চুরি করে সেখানে সন্ত্রাসী ইস্রায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বৈধতা তৈরি করে, সেই জাতিসংঘের কাছেই আমরা আবদার করি সঠিক বিচারের।
আমাদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ইসলামের সঙ্গে পশ্চিমা সাংঘর্ষিকতা নিয়ে ভাবার সময় হয়না। যেকোনো মূল্যে আমরা শুধু তাদের মতো হতে চাই। তাদের মধ্যে একদল লোক বলবে, ইসলাম ওই সময়ের জন্য উপযুক্ত ছিলো, আজ তামাদি হয়ে গেছে। এখন আর সেই আর্দশকে আকড়ে থাকা যাবেনা।
আরেকদল বলবে,আধুনিক সময়ের জন্য আমাদের আধুনিক ভাবে ইসলাম নিয়ে চিন্তা করতে হবে। ইসলামি বিধিবিধান সংস্কার করতে হবে। অথবা বদলাতে হবে দৃষ্টিভঙ্গি, কল্যান রাষ্ট্র মানবতার মুক্তি, সামাজিক আন্দোলন, গনতন্ত্র এসবের মধ্যে ইসলামের শিক্ষা মিশে গেছে।
অন্যদিকে আমরা তলিয়ে গেছি অন্ধকারে। আমাদের ব্যক্তিত্বকে, পারিবারিক জীবনকে ইসলামিক রাষ্ট্র গুলো ধ্বংস করার সবই শুষ্ক পরিকল্পনা ছাড়া কিছুই নয়। ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম করতে না দেওয়ার বুদ্ধিমত্তা সবই। পৃথিবীতে ইসলাম আসার পর থেকেই এই ধরনের কুবুদ্ধিদাতা ছিলো, এখনও আছে, ভবিষ্যতের প্রতি টা সেক্টরে তাদের প্রজন্ম থাকবে। তবে তাদের ভিতরের রুপ বুঝতে হবে আমাদের তরুণদের। কোনোভাবে সুযোগ দেওয়া যাবে না তাদের অপকর্মের। দৃঢ় বিশ্বাস আর মনোবল নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিটা রাষ্ট্রের মধ্যে, প্রতিটা ব্যক্তির মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে হবে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা। ইমানদার করে তুলতে হবে জাতি ও পরবর্তী প্রজন্মকে। তাহলেই সম্ভব হবে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।
লেখিকা: সুমাইয়া আক্তার আখি
কেএ