জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের ভাবনা

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পাওয়া প্রতিটা স্টুডেন্টের কাছে স্বপ্নের মতো। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পাওয়ার মাধ্যমে হাজারো স্বপ্নবাজের স্বপ্ন পূর্ণতা লাভ করেছে। কালের পরিক্রমায় এ বিদ্যাপীঠ পাঠশালা থেকে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করেছে। শিক্ষা, শৃঙ্খলা, গবেষণা, ক্যারিয়ার এবং মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে এ প্রতিষ্ঠান বিশেষ মর্যাদার স্থান করে নিয়েছে । আজ ২০ই অক্টোবর প্রাণের বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকি।শুভ জন্মদিন প্রাণের বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এভাবেই স্বপ্নবাজদের স্বপ্ন পূরণের সারথি হয়ে নিজেকে সমুন্নত রাখবে যুগ যুগ ধরে।

"আমার স্বপ্নপূরণের হাতিয়ার"

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, আমার স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস অনেক পুরানো,তবে ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আজ আমার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় গৌরবে ১৮ বছরে পর্দাপণ করবে। এই অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশসহ বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।যা উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গর্বের বিষয়। আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা,প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, অভিজ্ঞ শিক্ষকদের পাঠদান আমাদের জীবন গঠনের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। হাজারো শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে থাকে আমাদের প্রাণের ক্যাম্পাস।জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায়লের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণের একটি অন্যতম বিষয়। শুভ জন্মদিনে তোমার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা, আমার প্রাণের বিদ্যাপীঠ।

শুভ জন্মদিন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

মিতু রানী দাস, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ।

"জবি আমার আবেগ, আমার ভালোবাসা"

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত পুরান ঢাকার একটি স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ যা ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আগে ১০০ বছরে এরও বেশি সময় ধরে জ্ঞানের পরশ বিতরণ করে আসছে জবি। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখেছিলাম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হবো। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার মাধ্যমে আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমার প্রাণপ্রিয় ক্যাম্পাস সাফল্যের দীর্ঘ ১৭টি বছর পার করে আজ ১৮তে পা দিয়েছে। শুভ জন্মদিন আমার আবেগ আমার ভালোবাসার অপর নাম প্রাণপ্রিয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও যেভাবে দুর্বার গতিতে ছুটে চলেছো তুমি আজ এই শুভদিনে আশা রাখি এই সাফল্যধারা যেন অব্যাহত থাকে সবসময়। প্রায় দুই মাসের মত সময় কাটিয়েছি এই ক্যাম্পাসে। কিন্তু এই অল্প কিছুদিনেই মায়ায় জড়িয়ে গিয়েছি এই ছোট্ট নিবিড় ক্যাম্পাসের সাথে। একজন নবীন শিক্ষার্থী হিসেবে আমার চাওয়া আমি যেন আমার বিশ্ববিদ্যালয় কে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি এবং দেশ ও মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারি।

রাফীদ আদ-দ্বীন রাঈম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ।

"১৮ এ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়"

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুটা ছিল আনন্দের। সবাই অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে। প্রথম দিকে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অনেক আবেগ থাকলেও ধীরে ধীরে তা অনেকটাই বিলিন হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমার ডিপার্ট্মেন্টের অনেক সিনিয়র ভাই ও আপুরা ক্যাম্পাসে এসেছিল তাদের প্রিয় ক্যাম্পাসে স্মৃতিচারণ করতে। তাদের প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়কে একটু দেখতে। তাদের থেকে অনেক কিছু শিখার আছে যা পাঠ্যপুস্তকে নেই। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে অনেক সিনিয়র ভাই ও আপুদের সাথে পরিচিয় হয়েছে। তারা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু দিক নির্দেশনা মূলক অভীজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তাদের স্বপ্ন পূরনের কথা বলেছেন। তাদের মুখ থেকে শোনা এই বানিগুলো আমাকে অনেক অনুপ্রেরনা দিয়েছে। আমিও এখন স্বপ্ন দেখি যে আমিও আমার স্বপ্নগুলো পূরন করতে পারবো। আমাকে দিয়েও অনেক কিছু করা সম্ভব। মানুষ তার স্বপ্ন সমান বড়। সবাই পারলে আমি কেন পারবো না?

আমার ইচ্ছা আমিও কোন এক বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে প্রাণ প্রিয় ক্যাম্পাসে গিয়ে আমার জুনিয়রদের কে আমার স্বপ্ন পূরনের গল্প শোনাবো।

আজিজুল হক সৌরভ, ডিপার্টমেন্ট অব ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ।

"সংকট ও সম্ভাবনায় ১৮ বছর"

পুরান ঢাকায় বুড়িগঙ্গার কোল ঘেঁষে প্রতিনিয়ত শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বাংলার ঐতিহ্যের ধারক।১৮৫৮ সালের 'ব্রাহ্ম স্কুল' থেকে ২০০৫ সালে 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়' হওয়ার সঙ্গে মিশে আছে সোনালী অতীতের গৌরবময় স্মৃতি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নতুন হলেও আমাদের রয়েছে ১৬৫ বছরের সুদীর্ঘ ইতিহাস।যা প্রত্যেকটা জবিয়ানের জন্য গৌরবের দলিলস্বরূপ।আমার ক্ষেত্রেও তাই।প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই আবাসন,ছোট ক্যাম্পাস ইত্যাদি সংকুলানতার শেষ নেই।তবুও জবিয়ানরা দেশসহ, আন্তজার্তিক পর্যায়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে। নানাবিধ সংকটের মধ্যে থেকেই সম্ভাবনা কে সম্ভবে পরিণত করছে জবিয়ানরা।জবিয়ান হিসেবে আমার প্রথম 'ভার্সিটি ডে ' উদযাপন।আয়োজন যেমনই হোক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে অংশগ্রহণ করতে যেন আমার অন্য রকম আবেগ,অনুভূতি কাজ করছে।বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরুর প্রথম দিন থেকে দিন দিন প্রিয় থেকে প্রিয়তর হচ্ছে আমার এই মায়ার ক্যাম্পাস।জবি আমার পরিচয়,আমার অস্তিত্ব। ১৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি রইলো আমার শুভকামনা। জবির হাত ধরেই এগিয়ে যাবো আমরা বহুদূর। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাফল্যমন্ডিত হোক।

আফসানা আক্তার সানাম, লোকপ্রশাসন বিভাগ।