একাকী ঐ হলুদ চাঁদ আর আমি!

রাত গভীর!
ঘুমিয়ে পড়ছে ক্লান্ত শান্ত তাজা প্রাণগুলো
পরম নিশ্চয়তায়।
আর আমি কি করছি?
নিঃশব্দে বের হই ফ্রেস অক্সিজেন আশায়,
দম বন্ধ হবার পরিক্রমায়।
মেহগনি গাছের পুষ্পবৃষ্টিতে ভিজছি
বেলকনিতে দাড়িয়ে, উড়ে পড়ছে
আমার এলোমেলো ঝাঁকড়া চুলে গাজরা হয়ে।
আজ বাসর সাজাবো,
মধ্যরাতের হলুদ রঙা পুর্নিমা চাঁদের আলোয়।
নিজেকে মায়াবী পিশাচের মত লাগছে
এই আলোয়
এ কেমোন পুর্নিমা?
তুমিও কি ঐ চাঁদের মতোই ডুবে আছো,
আমাকে একা নিস্তব্ধতায় বিদীর্ণ করে!
কত সংকোচে দিধা আর দন্ডে
তোমাকে চাই প্রতিনিয়ত নিজের জন্য
কায়মনোবাক্যে।
তুমি কি অনুভব করো!
কেনো তবে দুরে রাখো আমায় ?
দেখো প্রাণের স্পন্দনের কিছুটা
সুর আর ছন্দ
তোমাকেও তো দিচ্ছি পাঠিয়ে প্রতিক্ষণ
অবচেতনে গহীন ধারায়।
অরন্যর আদিম পিপাসায়, তুমি কি শোনোনি?
বুঝতে পেরেছিলাম,
আবেগ নয় প্রেমের সংস্পর্শে প্রাণ ফিরে পায়
নিঃপ্রাণ প্রতিমা। অবশেষে বাধ্য হয়ে
তাই তো দিলাম! এখনও পাওনি?
কামনার জলে ডুবে যাচ্ছে দেখো
আদিম অনুরাগে একটু একটু করে
ম্যারমেরে ঐ হলুদ চাঁদ।
তোমাকে ভীষণ চাই এই ক্ষণপ্রভায়,
জীবনের কোলাহলে কিংবা
মৃত্যুহীন জয়গানেও।
আজও আমাকে আবিষ্ট করে রাখে
তোমার অনন্ত প্রেমের বাহুডোরে।
তোমাকে খুঁজি একাকী নিঃস্তব্ধতায়।
জানিনা তুমি কোথায়?
তোমাকে আমার ভীষণ প্রয়োজন এই ক্ষণপ্রভায়।
টিএ