Deshdeshantor24com: Bangla news portal

ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

ছোটগল্প

ছোট মাস্টারজি

ছোট মাস্টারজি
গ্রাফিক্স : দেশদেশান্তর ২৪

ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর আমি আর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারি নাই। সংসারে অভাব অনটন ছিল। তাই দায় হলো আমারই পরিবারের জন্য কিছু করার। চাকুরির জন্য ঢেষ্টা করতে থাকি। এবং চাকুরি একটা হয়েও যায় প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকের। আমার বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় হলেও আমার পোস্টিং দেওয়া হয় দূর্গাপুরের এক পাহাড়ি জনপদে।

রোড টু রানীখং :

সকাল এগারটায় জারিয়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছাড়ে ময়মনসিংহ জংশন থেকে। ট্রেনটি যখন ব্রহ্মপুত্র নদী পার হচ্ছিল, জানালা খুলে দেখছিলাম দূরের জলরাশি। ভাবছিলাম, গরীবের ঘরে জন্ম হলেও স্বপ্ন ছিল অনেক বড় হবার। কিন্তু তা আর হতে পারলাম না। লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়ে হতে হলো আমাকে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। মনে মনে আবার ভালও লাগছিল এই ভেবে যে, ছোট্ট ছোট্ট ছেলেমেয়েরা আমাকে স্যার ডাকবে, মন্দ কী?   

ট্রেনটি জারিয়াতে এসে পৌঁছে দুপুরে। স্টেশনে নেমে টমটমে করে দূর্গাপুর চলে আসি। প্রথমে থানা শিক্ষা অফিসে রিপোর্ট করে তারপর রিক্সায় করে চলে যাই সোমেশ্বরী নদীর তীরে। নৌকায় সোমেশ্বরী পার হয়ে পায়ে পায়ে হেঁটে পৌঁছে যাই রানীখং গ্রামে। এই গ্রামেরই স্কুলে আমি যোগদান করি। 

স্কুলের হেড মাস্টারজি আমাকে স্কুল আঙিনার পিছনে একটি পুরোন ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। ওখানে একটি রুমে স্কুলের দফতরি বিশু দিব্রাও থাকে। বিশু থাকাতে আমার বেশ সুবিধাই হলো। রান্না বান্নার আর কোনো চিন্তা করতে হলো না। ওখানে কোনো চোকি ছিল না। প্রথম দিন আমি হোগলার পাতার মাদুরে কাঁথা বিছিয়ে ঘুমাই। পরের দিন স্থানীয় হাট থেকে একটি চোকি, একটি টেবিল ও একটি চেয়ার কিনে নিয়ে আসি।

প্রথম দিন আমার প্রথম ক্লাস ছিল শিশু শ্রেণীর। ক্লাশে পনের জনের মত ছাত্র ছাত্রী ছিল। বেশির ভাগই গারো উপজাতীয়। দুচারজন ছিল বাঙালি। সবার হাতে একটি করে শিশু শিক্ষা বই। আমার জীবনের প্রথম ক্লাস। কেমন যেন আবেগে ভরে উঠছিল মন। এই ছোট ছোট শিশুদের কাছে আমি কেমন যেন নার্ভাস ফিল করছিলাম। মনে হচ্ছিল এরাও এক একজন বিজ্ঞ পন্ডিত । কোথায় কোন্ ভুল ধরে বসে না জানি আমাকে।

প্রথম থেকেই ভাল লাগছিল এই রানীখং। প্রকৃতির এক অপরুপ লীলাভূমি যেন। এর পূর্ব পার্শ্ব দিয়ে বয়ে গেছে খরস্রোতা পাহাড়ী নদী সোমেশ্বরী। এই নদীর স্বচ্ছ জলধারার নিচ দিয়ে স্পষ্ট দেখা যায় সিলিকন বালিকণা। নজর কেড়ে নেয় বালিকণার নিচ থেকে আদিবাসী নারী-পুরুষদের পাহাড়ি কয়লা এবং কাঠ সংগ্রহের দৃশ্য। ওপরের নীল আকাশও খুব কাছাকাছি। এখানেই সুউচ্চ টিলায় রয়েছে ক্যাথলিক মিশন। এর উত্তর পাশে চোখ মেললে হাতছানি দেয় ভারত সীমান্তে অবস্থিত মেঘালয়ের সুউচ্চ পাহাড় সারি।

প্রায় দিনই বিকেল বেলা কোথাও না কোথাও ঘুরতে বের হতাম। কখনও একাকী কখনও বিশু দিব্রাকে সাথে নিয়ে নিতাম। সোমেশ্বরীর নির্জন তীরে কখনও একাকী বসে থাকতাম। আবার কোনো কোনো দিন বিশুকে নিয়ে যেতাম সিলিকন বালি উত্তোলনের দৃশ্য দেখবার জন্য। বিশু আমার মতোই বাইশ তেইশ বয়সের তরুণ। ওর বাড়ি এখান থেকে বেশি দূরে নয়। মাইল খানেক দূরে পাহাড় অার অরণ্যের ফাঁকে এক টিলার উপরে।

সোমেশ্বরীর তীরে বসে একদিন বিশুকে বলছিলাম ---

' তুমি তো বাড়িতেই থাকতে পারো। এই স্কুলের পাশে এই ঘরে থাকো কেন? '

বিশু : 'এই স্কুলের প্রতি আমার খুব মহব্বত হয় যে। আমার বাবাও এই স্কুলের দফতরী ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক আর্মিরা আমার বাবাকে মেরে ফেলে এই স্কুল প্রাঙ্গণে। সেও থাকত এই পুরনো ঘরটিতে। যেখানে আমি থাকি। বাবার কাজগুলোই আমি করি। স্কুল প্রাঙ্গণ পরিচ্ছন্ন রাখি। ক্লাস শুরুর ঘন্টা বাজাই। ঘন্টা বাজাই ছুটির। রাতে পাহারা দেই । গভীর রাতে উঠে একাকী স্কুলের বারান্দা দিয়ে হাঁটি।'

আমি : খুব ব্যাথিত হলাম বিশু। তুমি খুব ভাল ছেলে। তোমার বাবা মুক্তি যুদ্ধে একজন শহীদ। তিনি এদেশের স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাকে আমি স্যালুট দেই। 

একদিন ছুটির দিনে বিশুকে আমি বলি, তোমার মাকে আমার খুব প্রণাম করতে ইচ্ছা করছে। তোমাদের বাড়িতে আমাকে নিয়ে যাবে? বিশু বলে --- 'অবশ্যই যাবেন। তবে মা আজ বিকেলে গীর্জায় আসবে প্রার্থনা করতে। আপনি গীর্জায় যেয়ে দেখা করতে পারেন। আমিও আজ গীর্জায় যাব। '

আমি বললাম, ' আমিও যাব গীর্জায়।

রানীখং গির্জায় এমনিতেই আমার যাবার ইচ্ছা ছিল। আমি আজ বিশুর সাথে চলে যাই গীর্জায়। দক্ষিণ দিকে গির্জার দৃষ্টিনন্দন প্রবেশদ্বার। ঢুকে এর বাম পাশেই শত বছরের প্রাচীন এই ক্যাথলিক গীর্জা। আমি বিশুর সাথে গীর্জায় প্রবেশ করি। দেখি যীশু মূর্তিকে সামনে রেখে বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষেরা প্রার্থনা করছে। আমরা দুজনে সেই প্রার্থনায় যোগ দেই।

প্রার্থনা শেষে গির্জা থেকে যখন বের হয়ে আসি, তখনই গির্জা প্রাঙ্গণে চল্লিশোর্ধ্ব একজন রমণীর সাথে বিশু আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয়। বিশু বলে --- 'ইনিই আমার মা।' আমি চেয়ে দেখলাম --- পরনে তার মলিন পোশাক। খালি পায়ে। মুখ তার রোগ ক্লীষ্ট। পরিপাটিহীন মাথার চুল। চোখে নেই কোনো হাসি। মনে হলো হাজার জনমের বিষণ্ণতা মুখে ছেয়ে আছে। তবুও তাকে দেখে একজন মহিয়সী মায়ের মতো মনে হলো। আমি তার পা ছুঁয়ে প্রনাম করি। আমাকে দেখে তিনি থমকে দাঁড়িয়েছিল গির্জার সোপানে। বিশু ওর মাকে বলেছিল --- 'ইনি আমাদের স্কুলের ছোট মাস্টারজি। ওনার নাম শ্রী সুনীল কুমার রায়। '

আমি দিনে দিনে বিশুর প্রতি আরও গভীর ভালবাসায় বাঁধা পড়ে যাই। ও আমার আপন কেউ নয়, কিন্তু ওর জন্যে আমার প্রাণ কাঁদে । এই নির্জন পাহাড়ি উপত্যকায় বিশুই আমার সকল সময়ের সঙ্গী হয়ে যায়। ও আমাদের স্কুলের একজন সামান্য দফতরী হলেও ওকে আমি আমার অন্তরে ঠাঁই করে নেই বন্ধুর মতো। 

একদিন বিশু বলছিল ওর মা নাকি খুব অসুস্থ। দেখতে যাবে বাড়িতে। আমি ওকে বললাম, আমিও যাব তোমার মাকে দেখতে। টিলা আর অরণ্যের পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ওদের বাড়িতে চলে যাই । পাহাড়ের ঢালে ছোট্ট একটি কাঠের বাড়ি। চারিদিকে খোলা উঠোন। দূরে আরো ছোট বড় পাহাড় ও টিলা আছে । দূরে পাহাড়ের কোল থেকে ঝরনার জল ঝরে পড়ছে। ৰাড়িটির উত্তর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সোমেশ্বরী নদী। এমনি এক নৈসর্গিক পরিবেশে ধীতাং ধীতাং করে হেটে আসছিল সোমেশ্বরী নদীর কুল থেকে জল নিয়ে একটি পাহাড়ি মেয়ে। বাড়িতে যখন প্রবেশ করি, তখনই ঐ মেয়ের সাথে দেখা হয়। বিশু বলছিল, ও আমার ছোট বোন জরী দিব্রা।

জরী দিব্রাকে সেদিন শুধু দেখেই এসেছিলাম। ওর সাথে আমার কোনো কথা হয়নি। কিন্তু পাহাড় আর অরণ্যের সেই নির্জনতায় ওকে একদম প্রকৃতি কন্যার মতো লাগছিল। পথে আসতে আসতে আমি বিশুকে জিজ্ঞাসা করি, তোমার বোনটি কী করে?

বিশু : কিছু করে না। এই স্কুলেই পঞ্চম ক্লাস পর্যন্ত পড়েছে। তারপর আর পড়ানো হয় নাই।

আমি : বিয়ে দিয়েছ?

বিশু : না।

আমি : বিয়ে দিয়ে দাওনা কেন?

বিশু : বিয়ে দিতে পারিনা গুড্ডুর জন্য। ও বিয়ে দিতে দেয় না। আবার নিজেও বিয়ে করবে না। ও খুব মাস্তান ছেলে। ষন্ডা নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। জরীর বিয়ে আসলে বিয়ে ভেঙে দেয়। পাত্রকে ভয় ভীতি দেখায়।

আমি : গুড্ডু কোথায় থাকে? 

বিশু : রানীখং গির্জার পাশের পুঞ্জিতে ।

আমি নিজেকে নিজে খুব ধিক্কার দিচ্ছিলাম। একজন শহীদের মেয়েকে দেখবার কী কেউ এখানে নেই? সবাই কী সন্ত্রাসী দেখে ভয় পায়? সবাই কী সন্ত্রাসের কাছে জিম্মি? 

একদিন গির্জায় যেতে পথে গুড্ডুর সাথে আমার দেখা হয়! গুড্ডু আমাকে দেখে শাসিয়ে বলে --- 'এই মাস্টার, তুমি নাকি বিশুদের অভিভাবক হইয়াছ? হও। একেবারে সোমেশ্বরী দিয়া ভাসাইয়া দিব। '

আমি বললাম, তুই দিস। আমিও দেখব তোকে।

গ্রীষ্মের ছুটিতে একবার আমি বাড়িতে চলে আসি। বিশ দিনের ছুটি ছিল। বাবা অসুস্থ তাই পুরো ছুটির সময়টা আমি বাড়িতেই থাকি। মাঝে মাঝে জেলা সদরের অফিসে যেয়ে বদলি আদেশের তদবির করি। বদলি আদেশটি হয়েও যায়। বদলি করা হয় মুক্তাগাছা থানার একটি স্কুলে। আমাদের বাড়ি থেকে মাত্র আড়াই মাইল দূরে। ছুটি শেষে আমাকে এই স্কুলে এসে যোগদান করতে হবে।

আবারও রোড টু রানীখং :

সকাল এগারটায় জারিয়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছাড়ে ময়মনসিংহ জংশন থেকে। ট্রেনটি যখন ব্রহ্মপুত্র নদী পার হচ্ছিল, জানালা খুলে আজকেও দেখছিলাম দূরের জলরাশি। ভাবছিলাম, নিজের কথা। আমিও কী তবে কাপুরুষ হলাম? কেউ কেউ বলবে, আমি ভয়ে বদলি নিয়ে চলে যাচ্ছি। গুড্ডু শুনে অট্টহাসি দেবে। এই সব ভাবতেই ভাবতেই ট্রেনটি একসময় জারিয়া পৌঁছে যায়।

আজও নৌকায় পার হচ্ছিলাম সোমেশ্বরী নদী। সোমেশ্বরীর জল আজ কেমন যেন স্তব্ধ ও স্থির মনে হচ্ছিল।

আমি হেড মাস্টারজিকে আমার বদলি আদেশের কপি দেই। উনি সেটি ফরোয়ার্ড করে থালা অফিসে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। বিশুকে দেখতে পাচ্ছিলাম না। হেড মাস্টারজিকে বলি --- বিশু কোথায়?

হেড মাস্টারজি : ও আজ দুতিন দিন ধরে অনুপস্থিত। শুনেছি, ওদের বাড়িতে নাকি কী ঝামেলা হয়েছে। 

আমার অন্তর্আত্মায় খুব টান দিল। বিশু তো স্কুলে অনুপস্থিত থাকার ছেলে নয়। আমি পরের দিন আমার বদলির কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। কাজ শেষে বিকালের দিকে বিশুদের বাড়িতে চলে যাই। তখন সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। আমি ওদের ঘরের দরজার কাছে যেয়ে বিশুকে ডাকি। বিশু ঘর থেকে বের হয়ে আসে। বাড়ির কাঠের বারান্দায় বসে আমি ওর সাথে কথা বলতে থাকি। 

ওর সাথে যখন কথা বলছিলাম, তখন ঘরের ভিতরে থেকে একটি মেয়ের গুমরে গুমরে কান্নার শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। আমি ওকে বলি -- কে কাঁদছে?

বিশু : জরী কাঁদছে।

আমি : কী হয়েছে ওর?

বিশু আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে। ও আমাকে যা বলল, তাহলো জরি গুড্ডু কর্তৃক ধর্ষিত হয়েছে। সেই থেকে ও কেবল কাঁদছে। মা অসুস্থ। জরিকে চোখের অাড়াল করতে পারছে না। চোখের আড়াল হলেই ও যদি আত্মহত্যা করে।

আমি সেই সন্ধ্যায় বিশু ও বিশুর মাকে বললাম, যদি আপনেরা রাজি হন তাহলে আমি জরীকে বিবাহ করব। এবং কাল প্রত্যুষেই ওকে নিয়ে এই এলাকা ছেড়ে চলে যাব। 

বিশু : আপনি তো হিন্দু ধর্মীয় ....।

আমি : খ্রীষ্ট ধর্ম মোতাবিকই ওকে বিয়ে করব।

ওরা রাজি হয়। সন্ধ্যা রাতেই জরীকে নিয়ে আমি ও বিশু চলে যাই রানীখং গির্জায়। গির্জার ফাদার আমার সাথে জরিকে বিবাহ পড়িয়ে দেয়। 

আমরা যখন জরীকে নিয়ে ওদের বাড়ি যাচ্ছিলাম, তখন দেখে ফেলে গুড্ডু। বিশু খুব ভয় পাচ্ছিল। ও বলছিল, ছোট মাস্টোরজি --- সাবধানে থাকতে হবে। গুড্ডু খুব খারাপ ছেলে।

আমাকে সে রাতে বিশু আর বিশুর মা স্কুলে ফিরে আসতে দেয়নি। আমি ওদের বাড়িতেই থেকে যাই। পাশের একটি ঘরে সারারাত প্রায় লন্ঠণ জ্বেলে রেখেছিলাম। দু একটা করে কথা বলার চেষ্টা করছিলাম জরীর সাথে। লন্ঠণের আলোয় দেখছিলাম জরীর মুখখানি। সেদিনের সেই ধীতাং ধীতাং করে চলা মেয়েটি আজ কেবলই স্তব্ধ ও নির্বাক হয়ে আছে। আমার সাথে একটি কথাও বলছে না। ম্লান মুখে চেয়ে রইল লন্ঠনের অালোর দিকে। আমি ওর বিষাদ দুটো চোখের দিকে চেয়ে ভাবছিলাম --- এমনই তুমি হতভাগী! বাসর সজ্জাটাও তোমার সাথে পাতা হলো না। 

লেখকের জবানবন্দি :

খুব ভোরবেলা জরির ঘুম ভাঙ্গে। চেয়ে দেখে ছোট মাষ্টারজি ঘরে নেই। তখনও মিটমিট করে লণ্ঠন জ্বলছিল। দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে দরজাটির খিল ভাঙা। বাইরে থেকে কেউ ভেঙেছে এই রকম মনে হলো। জরী চিৎকার করে কেঁদে ওঠে। বিশু পাশের ঘর থেকে উঠে আসে। বাড়ির উঠোনে দেখতে পায়, ছোপ ছোপ রক্তের দাগ লেগে আছে।

তখন কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই আমি :

তারও বছর ছয়েক পরের কথা। একদিন প্রভাতবেলায় বিশু একটি বাচ্চা ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করাতে নিয়ে আসে। ক্লাসে সেদিন ছিল ছোট মাস্টারজির মতো একজন নবীন শিক্ষক। সেই নবীন শিক্ষক বাচ্চেটিকে জিজ্ঞাসা করে --- 'বাবু তোমার নাম কি?'

বাচ্চাটি : সুদীপ্ত কুমার দিব্রা

শিক্ষক : তোমার মায়ের নাম কি?

সুদীপ্ত. : জরী দিব্রা

শিক্ষক : তোমার পিতার নাম কি?

সুদীপ্ত : স্বর্গীয় সুনীল কুমার রায়।

 

লেখক - কোয়েল তালুকদার

 
এএজি

নামাজের সময়সূচী

মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
Masjid
ফজর ৪:৪১
জোহর ১২:০৯
আসর ৪:২৯
মাগরিব ৬:১৪
ইশা ৭:২৮
সূর্যোদয় ৫:৫৬
সূর্যাস্ত ৬:১৪