Deshdeshantor24com: Bangla news portal

ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

মাইনাস ২ ফর্মূলা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কী ভূল সিদ্ধান্ত ছিল

মাইনাস ২ ফর্মূলা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কী ভূল সিদ্ধান্ত ছিল
ছবি সংগৃহিত

দেশের অস্থিতিশীল পরিবেশকে স্থিতিশীল করতে এবং অবাধ সুস্থ নির্বাচন নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২০০৬ ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে দেশের দুই নেত্রীকে গ্রেফতার করে ততকালীন সরকার। যা মিডিয়ার মাধ্যমে মাইনাস ২ ফর্মূলা নামে পরিচিত।

‘মাইনাস ২’ ফর্মূলা হলো ২০০৬ সালের সেনাবাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়কালীন সময়ে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা গ্রেফতার করে। সরকারের একাধিক উপদেষ্টা 

মাইনাস ২ ফর্মূলা একটি রাজনৈতিক সমাধান ছিল, যা ২০০৬ সালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য প্রস্তাবিত হয়েছিল। এটির মূল উদ্দেশ্য ছিল দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে উত্তেজনা কমানো এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তোলা। তবে, এই ফর্মূলার বাস্তবায়ন ছিল বিতর্কিত এবং এটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য ভূল সিদ্ধান্ত হিসেবে গণ্য হয়েছিল, কারণ এটি রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে বিশ্বাসের অভাব সৃষ্টি করেছিল। এর ফলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছিল এবং নির্বাচনী পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল।

কেন ব্যর্থ হয়েছিল এই ফর্মূলা?

মাইনাস ২ ফর্মূলা, যা প্রধানত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে বিরত রাখার পরিকল্পনা ছিল, এর ফলে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এবং তার সমর্থকদের বিরোধিতা বাড়ে। ফলে নতুন করে রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি হয় এবং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে ওঠে। জনগণ এই ফর্মূলাটিকে 'অগণতান্ত্রিক' পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করেছিল। তাদের ধারণা ছিল পুনরায় এই ফর্মূলা সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠিত করবে। বিকল্প রাজনৈতিক দল না থাকায় মাইনাস ২ ফর্মূলার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া দুর্বল হয়ে যায়। এতে রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং জনমত হারানোয় এই ফর্মূলার কার্যকারিতা নষ্ট হয়। প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেত্রীদের গ্রেফতার করায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করেনি, যা দেশের বৈদেশিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলেছিল।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা কী একই পথ?

গণহত্যারকারী আওয়ামী লীগ সরকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে চরম নৃশংসতা চালিয়েছে। সে তার দলীয় হেলমেট বাহিনী ও পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবিবাহিনী দিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর গণহত্যা চালায়। এর আগেও এই সরকার ২০০৯ সালে পিলখানায় ও ২০১৩ সালের শাপলা চত্ত্বরেও তারা পুলিশ বাহিনী দিয়ে গণহত্যা চালিয়েছিল। এর বাইরে গুম-খুন যেন হিসাবেরই বাইরে। এসকল কারণেই গণহত্যাকারী এই দলকে অনেকেই নিষিদ্ধের দাবি তুলছে বিভিন্ন মহল। ২০০৬ সালে সেনাবাহিনী সরকারের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে এবারের এই সরকার জনগণ সমর্থিত। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পূর্বের রক্তখেকো সরকারের পতন ঘটেছে। রক্তে অর্জিত বাংলায় খুনিরা যাতে পুনরায় আসতে না পেরে সেজন্য আইনের ও কোর্টে মাধ্যমে তাদের গণহত্যার বিচার করতে হবে। বিচারিক কার্যের মাধ্যমেই এই গণহত্যাকারী দল বাংলায় থাকবে কি না তা নির্ধারিত হবে। কাজেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়া এবং মাইনাস ২ ফর্মূলা এক না। বরং এবারে এই দল নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে খুনী ও দুর্বৃত্তদের দমন করতে সক্ষম হবে বাংলাদেশের জনগণ ও প্রশাসক।

 

কলমে- আকিব সুলতান অর্নব,

শিক্ষার্থী, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

 
এএজি

নামাজের সময়সূচী

শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
Masjid
ফজর ৪:৪১
জোহর ১২:০৭
আসর ৪:২৯
মাগরিব ৬:১৪
ইশা ৭:২৮
সূর্যোদয় ৫:৫৬
সূর্যাস্ত ৬:১৪